সোমবার । ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ । ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২

নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করল মাদকাসক্ত ছেলে

গেজেট প্রতিবেদন

পাবনায় নামাজরত অবস্থায় নিজাম প্রামানিক (৬০) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার মাদকাসক্ত ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়েছে। ‎রোববার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদরের চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরাতন ভাদুরডাঙ্গীতে এ ঘটনা ঘটে।

‎নিহত নিজাম প্রামাণিক ওই এলাকার মৃত ইন্তাজ প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভিযুক্ত ছেলে মোস্তফা প্রামাণিকও বাবার সঙ্গে কৃষকের কাজ করতেন। তবে তিনি মাদকাসক্ত ছিল।

‎পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিজাম প্রামানিক নতুন বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজে মাত্র দাঁড়িয়েছে। এমন সময় সুযোগ বুঝে দরজা আটকিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘর থেকে বের হয় তার ছেলে। এরপর নিজেই পাশের রুম আটকিয়ে দিয়ে বসে থাকে। পরে বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘরে গিয়ে দেখে মরদেহ পরে আছে। এরপর ওই ছেলেকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে দেয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

‎‎নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার বাবাকে নামাজরত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে৷ আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে রুমে শুয়ে আছি। এমন সময় রুম আটকিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এর আগেও সে আমাকে মেহগনি ঢাল দিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকেও আমাকে হত্যা করার জন্য গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে মাঠের মধ্যে গিয়ে খুঁজাখুঁজি করেছে। বাড়ির লোক বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাকে সতর্ক করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের থেকে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাতো। তাকে এখনই ক্রসফায়ারে হত্যা করলেও আমার ও পরিবারের কোনো দাবি-দাওয়া থাকবে না। তাকে এখনই ফাঁসি দেওয়া হোক।’

‎পাবনা সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের টিম এখন ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন